ঢাকাশনিবার , ২৪ মে ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. আরো
  7. ইসলাম ও ধর্ম
  8. ক্যাম্পাস
  9. ক্রিকেট
  10. খুলনা-বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. চট্রগ্রাম-বিভাগ
  13. চাকরি
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা-বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে কোরবানির চাহিদা মেটাবে স্থানীয় খামার, প্রস্তুত ২ লাখের বেশি গবাদি পশু

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি-
মে ২৪, ২০২৫ ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের খামারগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। জেলার ১৩টি উপজেলার খামারিরা দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া মোটাতাজাকরণে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৯টি গবাদি পশু।

এই পশুগুলোর মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার অভ্যন্তরীণ চাহিদা ১ লাখ ৮০ হাজার ৯১১টি। অতিরিক্ত ৩২ হাজার ৪৫৮টি পশু দেশের অন্যান্য জেলার চাহিদা মেটাতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে রয়েছে ৭০ হাজার ৭১টি ষাঁড়, ৪ হাজার ৬টি বলদ, ১৮ হাজার ৫৫৯টি গাভী, ১ হাজার ২৮৮টি মহিষ, ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৬টি ছাগল, ৫ হাজার ৫১৬টি ভেড়া এবং অন্যান্য ৩৩টি পশু।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১১৬টি গরুর খামার রয়েছে। সবচেয়ে বেশি খামার রয়েছে কিশোরগঞ্জ সদর, করিমগঞ্জ ও বাজিতপুর উপজেলায়। এসব খামারে দেশি জাতের গরুর পাশাপাশি ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, ব্রাহামা ও ইন্ডিয়ান বোল্ডার জাতের গরুও রয়েছে।

খামারিরা বলছেন, বাজারে দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি হওয়ায় তারা প্রাকৃতিক উপায়ে খৈল, ভুষি, খড়, ছোলা, ঘাস, ভুট্টা গাছের সাইলেজ ইত্যাদি দিয়ে পশু মোটাতাজা করছেন। কোনোরকম হরমোন, ইনজেকশন বা ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছেন প্রাণিসম্পদ অফিস।

করিমগঞ্জ উপজেলার সিদলার পাড় গ্রামের ইয়াসিন এগ্রো ফার্মের মালিক সুমন মিয়া বলেন, “আমরা পরিবার থেকেই গরু লালন করি। কোনোরকম রাসায়নিক ব্যবহার করি না। নিয়মিত পরিচর্যা ও প্রাকৃতিক খাদ্য দিয়েই গরু বড় করছি। এবার ভালো দাম পেলে বড় খামারের পরিকল্পনা রয়েছে।”

খামারি জুনায়েদ আশরাফ সানি জানান, “আমার খামারে কোরবানির জন্য ৬০টি গরু রয়েছে। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হয় প্রতিটি গরুর পেছনে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন করা এসব গরু সারা দেশের ব্যবসায়ীরা খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।”

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র পন্ডিত জানান, জেলায় ৬৩টি গরুর হাট রয়েছে। এসব হাটে ৪০টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে। তারা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, চিকিৎসা ও সচেতনতামূলক কাজ করবে। প্রতিটি উপজেলায় একজন ভেটেনারি অফিসারের নেতৃত্বে টিম কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, “খামারিরা যাতে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার না করেন, সেজন্য নিয়মিত পরিদর্শন ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, হাটে অসুস্থ পশু শনাক্ত ও চিকিৎসার জন্য ট্রাক চলাচলের পথেও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”

পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রতিটি হাটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে যাতে পশু বিক্রির পর বিক্রেতারা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।