সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আওয়ামী লীগের ৩ (তিন) নেতাকে থানা হাজত থেকে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে জগন্নাথপুর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (৩ জুন ২৫) এ ঘটনাটি ঘটেছে, এমন নিউজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। থানা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল ইসলাম জাবির, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল ও যুগ্ম আহবায়ক মারজান আহমদসহ কয়েকজন নেতাকর্মীরা লাইভে কথা বলেন ।
জগন্নাথপুর থানা পুলিশ অভিযোগটি সম্পূর্ণ রুপে অস্বীকার করেছে। একই দিন বিকেলে জগন্নাথপুর উপজেলা পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, জগন্নাথপুর থানা পুলিশ সোমবার রাতে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খান, দপ্তর সম্পাদক রাসেল মিয়া ও সদস্য সুহেল মিয়াকে গোয়ালাবাজার থেকে আটক করে জগন্নাথপুর থানায় নিয়ে আসে এবং দুপুর ২টা পর্যন্ত তাদের থানায় মধ্যে রাখা হয়। আড়াইটার দিকে তাদেরকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।
এঘটনায় জগন্নাথপুর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা ছাত্রদলের আহ্ববায়ক মামুনুর রশীদ জানান, পুলিশ কার ইন্দনে আসামিদের ছেড়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা জানতে চায়। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে নামবেন বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামছুল ইসলাম জাবির বলেন, পুলিশ কী কারণে কিসের জন্য ‘ডেবিল’দের থানার কাষ্টরি থেকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় জগন্নাথপুরের ছাত্র-জনতার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি।
জগন্নাথপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক বলেন, সকাল ১১টার দিকে তাদের কে ওসি (তদন্ত) রুমে আলাপ করতে দেখা যায়, এবং পরে তাদের ছেড়ে দেন, যদি ডেভিল দের অচিরে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার দেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুল ইমতিয়াজ ভূঁইয়া পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই তিন ব্যক্তি একটি মামলার আদালতের আগাম জামিনের রিকল জমা দিতে এসেছিলেন। তাঁরা জমা দিয়ে চলে গেছে। আমরা কাউকে আটক করেনি