দীর্ঘদিন পর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা হওয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে শেরপুরে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ জুন বুধবার বিকেলে নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ মিছিলে তীব্র গরম উপেক্ষা করে জেলার বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিলটি শহরের থানামোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন। নবগঠিত শেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ পলাশের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফজলুর রহমান তারা, যুগ্ম আহবায়ক প্রকৌশলী মো. ফাহিম চৌধুরী, ২০১৮ সালের নির্বাচনে শেরপুর-১ (সদর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা, মো. সাইফুল ইসলাম, কামরুল হাসান প্রমুখ।
এদিকে গত বছরের ৩ নভেম্বর শেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর থেকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দলীয় কোন কর্মসূচিতে অংশ নেন ওই বিলুপ্ত কমিটির আহবায়ক মো. হযরত আলী। তার কন্যা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের সর্বকনিষ্ঠ এমপি প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আমি দীর্ঘদিন আপনাদের কাছে আসতে পারিনি। আমি যাতে শেরপুরে না আসি, সেজন্য অনেক চাপ প্রয়োগ করা হতো। এখন থেকে আমি নিয়মিত শেরপুরে আসব, আপনাদের পাশে থাকব, শেরপুরের উন্নয়নে কাজ করব। তিনি আরও বলেন, কোন দ্বন্দ্ব-সংঘাত নয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যিনিই দলের মনোনয়ন পাবেন আমরা তার হয়েই নির্বাচন করবো। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অত্যন্ত বিচক্ষণ নেতা। তিনি জেলা বিএনপির যে কমিটি দিয়েছেন, সেই কমিটি দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং শেরপুরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।
এর আগে দুপুরের পর থেকেই জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে খন্ড খন্ড মিছিল শহরের থানা মোড়ে গিয়ে জমায়েত হয়। জেলা বিএনপির এই আনন্দ মিছিলে মানুষের ঢল নামে।
উল্লেখ্য, নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের মাত্র ২ মাসের মাথায় গত ২ জানুয়ারি জেলা বিএনপির ৩ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি প্রথমে স্থগিত ও পরে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে প্রায় ৫ মাস যাবত কোন কমিটি ছাড়াই চলছিল জেলা বিএনপি। পরে গত ৫ জুন অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলামকে আহবায়ক ও এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশকে সদস্য সচিব করে জেলা বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।