ঠাকুরগাঁও জেলার ঐতিহ্যবাহী সদর উপজেলার রুহিয়া থানা শহরে প্রতিদিন যাতায়াত করে লক্ষাধিক মানুষ। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা ও যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এই শহরে নেই কোনো গণশৌচাগার। ফলে পথচারী ও যাত্রীদের প্রাকৃতিক চাহিদা মেটাতে হাসপাতাল চত্বরই এখন ভরসা, যা স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশ দুটোকেই করছে হুমকির মুখে।
বিশেষ করে রুহিয়া চৌরাস্তায় প্রতিদিন শত শত যাত্রী ওঠানামা করলেও সেখানে নেই কোনো পাবলিক টয়লেট। পুরুষরা কোনোভাবে হাসপাতাল এলাকায় প্রয়োজন মেটালেও নারী ও শিশুরা পড়ছেন চরম অসুবিধায়। এতে করে একদিকে যেমন পরিবেশ হচ্ছে দূষিত, অন্যদিকে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম।
হাসপাতাল চত্বর দিনভর ব্যবহৃত হচ্ছে পাগলু, ভ্যান ও সিএনজি স্ট্যান্ড হিসেবে, ফলে রোগীদের চিকিৎসা নিতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে। স্থানীয়রা জানায়, এ বিষয়ে বহুবার দাবি জানানো হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। রুহিয়া হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, বহিরাগতদের দ্বারা হাসপাতাল চত্বর নোংরা হয়ে যাচ্ছে,পরিষ্কার-
পরিচ্ছন্নতা রক্ষা কঠিন হয়ে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ইমরান রানা বলেন, এত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টয়লেট না থাকা লজ্জাজনক ও স্বাস্থ্যহানিকর। ঠাকুরগাঁও জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন আবুল বাসার মো: সায়েদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ ও থানাকে জানানো হয়েছে, এবং স্থানীয়দের সচেতনতা ও সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, “জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।”