বাগেরহাটের রামপালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ তার মায়ের উপর হামলা করে আহত করার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রামপাল থানায় গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি করেছেন ব্যাংক কর্মকর্তার পিতা শেখ রুস্তুম আলী। মামলার পরপরই রামপাল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামীদের আটক করে। পরদিন শুক্রবার সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী রুস্তুম আলী ও এজাহার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সিকিরডাঙ্গা গ্রামের শেখ রুস্তুম আলীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের আ. হাকিমের ছেলে মুন্নু শেখদের সাথে। ইতিপূর্বে ও বেশ কয়েকবার মুন্নু শেখ ও তার সহযোগীরা সংঘবদ্ধভাবে শেখ রুস্তুম আলী, তার স্ত্রী আনজিরা বেগমকে মারপিট করে আহত করে। এছাড়াও তাদের পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনা নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে ও রামপাল থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রতিবারই একটি প্রভাবশালী মহলের তৎপরতায় ওই সন্ত্রাসীরা পার পেয়ে যায়। যে কারণে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১০ টায় মৃত আ. হাকিমের ছেলে বিবাদী মো. মুন্নু শেখ ও মো. খোকন শেখের ছেলে সহযোগী মাসুম বিল্লাহ বাশের লাঠি ও রড নিয়ে রুস্তুমের বাড়তে প্রবেশ করে। ওই সময় রুস্তুমের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা মো. মুক্ত হাসান (৩৭) এর উপর হামলা করে হত্যার চেষ্টা করে। তারা মুক্তকে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় মুক্তকে বাঁচাতে তার মাতা আনজিরা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করে আহত করে। আসামীরা ওই সময় ব্যাংক কর্মকর্তা মুক্ত হাসানের পকেটে থাকা ২৫০০ টাকাও হাতিয়ে নেয়। তাদের ডাকচিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। বাদী রুস্তুম আলী ও তার ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা মো. মুক্ত হাসান জানান, মামলা করার পরে তাদের মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে ওই সন্ত্রাসীরা। আসামীদের আটকের পরে তার সহযোগীরা রাতে বাড়ীর সামনে জড়ো হয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তারা যে কোন সময় আবারো হামলা করে ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে আশঙ্কা করছেন ব্যাংক কর্মকর্তা মুক্ত হাসান।
এ ব্যাপারে রামপাল থানার এসআই হুসাইন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি মামলা দায়ের ও আসামীদ্বয়কে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কেউ ভিকটিমদের উপর পুনরায় হামলার অপচেষ্টা চালালে দ্রুত আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।