বয়স ১৩ কি ১৪ হবে। নিজ দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য সুরেলা কণ্ঠে গান গাইতেন। সেই গান ভাইরালও হতো। যেন এমন―যে শিশু মৃত্যুর গান গেয়েছিল, তিনি এখন শোকগ্রস্তদের দলে যোগ দিয়েছেন। আর তার বিদায় ছিল তার কথার মতোই মহৎ। বলা হচ্ছে ফিলিস্তিনের শিশুশিল্পী হাসান আয়াদের কথা।
ফিলিস্তিনের গাজায় মিষ্টি কণ্ঠের জন্য জনপ্রিয় লাভ করা শিশুশিল্পী হাসান আয়াদ ইসরায়েলের চালানো এক বিমান হামলায় মারা গেছেন। তিনি ছিটমহলে থাকতেন। গত ৫ মে নুসাইরাত শহরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালালে এতে মৃত্যু হয় হাসান আয়াদের।
এ গায়ক তার কণ্ঠের মাধ্যমে দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরতেন। দীর্ঘদিন ধরে গাজার ওপর হওয়া অন্যায় ও অবিচার ফুটে উঠতো তার গানের কথায়। মানুষকে উদ্ধুব্ধ করার ক্ষমতা ছিল তার গানে ও সুরে। দেশের মানুষকে ভয় কাটিয়ে বের হয়ে আসতে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন তিনি। আর যা তার কণ্ঠের মাধ্যমে পৌঁছে যেত বিশ্ববাসীর কাছে।
সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইন ক্রনিকলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুশিল্পী হাসান আয়াদের মৃত্যুর খবরে যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে তার বাবার মাথায়। সন্তানের মৃত্যুর কথা শুনতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। সন্তান হারিয়ে নিস্তব্ধ হাসান আয়াদের বাবা।
এদিকে হাসান আয়াদের মৃত্যুতে ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক রশিদ মাশারাওয়ি বলেন, হাসান আয়াদ গাজা থেকে আমাকে একটি গান উৎসর্গ করেছিল। কিন্তু সে বিমান হামলায় শহিদ হয়েছেন। তার মিষ্টি, হৃদয়বিদারক শিশুসুলভ কণ্ঠে ‘জিরো ডিসটেন্স’ সিনেমার জন্য গান করেছিল সে।
এ পরিচালক আরও বলেন, আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবন হারাচ্ছি। হাসান, চতুর হাসান, শিল্পী হাসান, শহিদ হাসান… তুমি কষ্ট দিয়েছো আমাকে।