মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ, শরণখোলা(বাগেরহাট)প্রতিনিধি- বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত বিথী আক্তার (২২) নামের এক নারী কর্মচারী সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। বুধবার (১১ জুন) রাতে উপজেলার পশ্চিম কদমতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মৃত বিথী বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পাঁচুলী ওয়ার্ডের বাসিন্দা হান্নান শেখের মেয়ে।
জানা গেছে, বিথী আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে শরণখোলা উপজেলা নির্বাচন অফিসে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্মরত ছিলেন। ভাড়া বাসাটি ছিল সৌদি প্রবাসী হেলাল পহলানের, যেখানে গত সাত মাস ধরে তিনি একা বসবাস করতেন।
প্রবাসীর স্ত্রী জানান, ১০ জুন বিকেলে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা থাকলেও এরপর আর বিথীর সঙ্গে দেখা হয়নি। রাত বারোটার দিকে হঠাৎ খবর আসে বিথী আক্তার ঘরের ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে শরণখোলা থানা পুলিশের একটি দল উপ-পরিদর্শক বিনয় কুমারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় এবং দরজা ভেঙে বিথীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, মরদেহ থানায় নিয়ে এসে রাতে রাখা হয় এবং পরদিন সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। প্রতিবেশীরাও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। বিথীর পরিবার থেকেও কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইনায়েত হোসেন বলেন, বিথী অফিসের আউটসোর্সিং পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছিলেন। ঈদের ছুটির কারণে বিষয়টি তিনি জানতেন না।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ জানান, ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, এর এক দিন আগেই ১০ জুন উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নে সুমনা আক্তার (২০) নামে আরেক তরুণী বিষপানে আত্মহত্যা করেন, যা এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।