আবু রায়হান, স্টাফ রিপোর্টার- বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবনে ফের চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) পূর্ব সুন্দরবনের দুই ভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বনপ্রহরীরা হরিণ শিকারের জন্য পাতা ১৩৫টি ফাঁদ জব্দ করেছেন। পরবর্তীতে এসব ফাঁদ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেলে ঢাংমারী বনাঞ্চলের হুলার ভারানী খালে পায়ে হেঁটে অভিযান চালায় বনপ্রহরীরা। এ সময় সেখান থেকে ৮২টি মালা ফাঁদ (গোলাকৃতির দড়ির ফাঁদ) উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সকালেই নন্দবালা টহল ফাঁড়ির আওতাধীন সূর্যমুখী খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে আরও ৫৩টি ফাঁদ জব্দ করা হয়। এই দুই অভিযানে মোট ১৩৫টি হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার ও ধ্বংস করা হয়।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এরও আগে মঙ্গলবার সুপতি স্টেশনের আওতাধীন শাপলা ক্যাম্পের ছোট সিন্দুক বারিয়া খালের উত্তর পাশ থেকে ৪৫০টি ফাঁদ জব্দ করা হয়েছিল।
বারবার অভিযান চালানো সত্ত্বেও চোরা শিকারিদের তৎপরতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় বন কর্মকর্তা। তারা বলছেন, বর্ষাকাল শুরুর আগেই শিকারিরা বনের দুর্গম জায়গায় ঢুকে ফাঁদ পেতে রাখছে, যা বন বিভাগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
উদ্ধার হওয়া ফাঁদ ধ্বংস করলেও শিকারিদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছে বন বিভাগ।
স্থানীয় পরিবেশবিদরা বলছেন, এই চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা ও টেকসই নজরদারি ছাড়া বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা সম্ভব নয়।