সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের একদম শুরু থেকেই একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, প্রকৃত বাস্তবতা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে। বেলর ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা জানাচ্ছে, ডিজিটাল যোগাযোগের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা মানুষের একাকীত্ব আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
গবেষণাটি ৯ বছর ধরে প্রায় ৭,০০০ ডাচ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ করেছে, যা সম্প্রতি Personality and Social Psychology Bulletin জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, সক্রিয় (ASMU) এবং নিষ্ক্রিয় (PSMU) উভয় ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারই একাকীত্ব বাড়ায়।
নিষ্ক্রিয় ব্যবহার, যেমন স্ক্রলিং বা কন্টেন্ট দেখা, একাকীত্বের অনুভূতি তীব্র করে। তবে বিস্ময়করভাবে, সক্রিয় ব্যবহার—যেমন পোস্ট করা, মন্তব্য করা বা লাইক দেওয়া—এটিও একাকীত্ব কমায় না; বরং দীর্ঘমেয়াদে একাকীত্ব আরও গভীর করে।
গবেষক জেমস এ. রবার্টস, ফিলিপ ইয়াং ও মেরেডিথ ডেভিড বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ব্যস্ততা মানেই সামাজিক সংযোগ নয়। বরং ডিজিটাল যোগাযোগ বাস্তব জীবনের সম্পর্কের শূন্যতা পূরণ করতে পারে না। একাকী ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি সময় ব্যয় করেন, কিন্তু এটি তাদের আরও বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
এই গবেষণা আমাদের ডিজিটাল অভ্যাস পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যতই আকর্ষণীয় হোক, মানসিক সুস্থতার জন্য প্রকৃত মানবিক সম্পর্কের বিকল্প নেই।