বিয়ের মাত্র কয়েকদিন পর হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেন সোনাম রঘুবংশী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিজের প্রেমিকের সঙ্গে মিলেই তিনি এই নৃশংস পরিকল্পনা করেছিলেন। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন করতে ভাড়া করা হয়েছিল খুনিদের। প্রথমে চার লাখ টাকা দেয়া হলেও পরে সেই টাকা বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকা দেন সোনাম। শুধু তাই নয়, খুনের পর স্বামীর মৃতদেহ গর্জে ফেলে দিতেও সাহায্য করেন তিনি। খবর এনডিটিভি
সোনাম ও রাজা বিয়ে করেছিলেন ১১ মে। এরপর ২১ মে হানিমুনে মেঘালয় যান। ২৩ মে তারা একটি জলপ্রপাত দেখতে পাহাড়ে ট্রেকিংয়ে যান। সেখানেই রাজাকে খুন করা হয়।
সূত্র বলছে, খুনিরা শুরুতে রাজাকে মারতে রাজি হচ্ছিল না। তখন সোনাম টাকা বাড়িয়ে ২০ লাখ করে দেয়। এরপর রাজাকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে দেহটি গড়িয়ে ফেলা হয় একটি গর্জে।
এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সোনাম ও তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা। রাজ সরাসরি ঘটনাস্থলে না গেলেও ফোনে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। এই মামলায় আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ-বিশাল চৌহান, আকাশ রাজপুত ও আনন্দ কুর্মি। এই পুরো অভিযানকে ‘অপারেশন হানিমুন’ নাম দিয়েছে মেঘালয় পুলিশ।
হত্যার পর সোনাম প্রথমে ইন্দোর ফিরে যান এবং প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর গা ঢাকা দিয়ে থাকেন উত্তরপ্রদেশের ঘাজিপুরে। অবশেষে ৯ জুন রাতে সোনাম নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
রাজার পরিবার বলেছে, ‘আমাদের ভাইকে ঠান্ডা মাথায় মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই, সোনাম ও যারা জড়িত তাদের ফাঁসি হোক।’ অন্যদিকে, সোনাম ও রাজ কুশওয়াহার পরিবার দাবি করেছে, তাদের সন্তানরা নির্দোষ এবং পুলিশ ভুলভাবে ফাঁসিয়েছে।