আবু রায়হান, স্টাফ রিপোর্টার- সুন্দরবনে বাঘের খাদ্য হিসেবে পরিচিত হরিণ, বানর, বন্য শূকর, সজারু ও গুঁইসাপের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। চলতি বছর পরিচালিত একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, সুন্দরবনে এখন এসব পাঁচ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৮টি।
জার্মানির কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)-এর সার্বিক সহযোগিতায় ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়। বাঘের খাদ্য হিসেবে বিবেচিত এই পাঁচটি প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জীবনচক্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জরিপ অনুযায়ী, ২০০৪ সালে সুন্দরবনে চিত্রল ও মায়া হরিণের সংখ্যা ছিল ৮৩ হাজার, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৪টিতে। বানরের সংখ্যা ৫১ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪টি এবং বন্য শূকর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৫১৫টিতে। এবারই প্রথম জরিপে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গুঁইসাপ (২৫ হাজার ১২৪টি) ও সজারু (১২ হাজার ২৪১টি)।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে বলেন, “বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন এখন অনেকটাই দস্যুমুক্ত। স্মার্ট পেট্রলিং, বন বিভাগ, র্যাব, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারণে হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকার কমেছে। সেইসঙ্গে অভয়ারণ্যের পরিমাণ ৫১ শতাংশে উন্নীত করায় প্রাণীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, চলমান ক্যামেরা ট্র্যাকিং জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যাও বাড়ার ইঙ্গিত মিলছে। আগামী ২৯ জুলাই, বিশ্ব বাঘ দিবসে এই জরিপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।