রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিনে দিনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মৃত্যুহার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পাঠানো ডেঙ্গু সংক্রান্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে— যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। একই সময়ে নতুন করে আরও ১৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৃত্যুর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১ জন রয়েছেন। এর ফলে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে।
নতুন রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, ঢাকা বিভাগে ৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ জন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০৪ জন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৭০ জন এবং চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ১১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং মোট আক্রান্ত ছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। চলতি বছর সেই সংখ্যার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে দ্রুত ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ মানুষকেও সচেতন হয়ে ঘরবাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।