নোয়াখালীর সেনবাগে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) এর জুলাই ঘোষণাপত্র: সেনবাগের জনগণের প্রত্যাশা, পর্ব-১০ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার ( ১২ জুন ) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর সেনবাগে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) এর সেনবাগ উপজেলার আয়োজনে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়েছে। এটি ছিল আপ বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনার ১০ ম পর্ব শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান সেনবাগ উপজেলা মডেল মসজিদের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা তাঁদের প্রত্যাশা ও বক্তব্য তুলে ধরেন।
আপ বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলা সংগঠক জিয়া উদ্দিন এর সঞ্চালনায় মো: রাকিবের পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত , আরও বক্তব্য রাখেন বখতিয়ার মুজাহিদ সিয়াম, প্রধান কেন্দ্রীয় দপ্তর ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন না হলে দেশে পুনরায় স্বৈরাচারের উত্থান ঘটতে পারে, যা হবে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে চরম শ্বাসঘাতকতা। দেশে আর কোনো স্বৈরাচারীর যেন জন্ম না হয়, তা নিশ্চিত করতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, “এই অভ্যুত্থান কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর ছিল না, এটি ছিল ভ্যানচালক থেকে শুরু করে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মুক্তির আন্দোলন। জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেই সাধারণ মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা কেবল ক্ষমতার পরিবর্তন চাই না, আমরা চাই সিস্টেমের পরিবর্তন।”
সভায় ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়।
বক্তব্যে আরো বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি, দুর্নীতির রাজনৈতিক অর্থনীতি ও ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে দিয়ে যে ফ্যাসিবাদের পাটাতন কায়েম হয়েছিল যেখানে মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার ও ন্যায়নীতি কেবলই ফাঁকাবুলির মতো শোনা যেতো; ছাত্র-জনতার জুলাইয়ে দীর্ঘ রক্তিম নাজরানার মাধ্যমে সে জুলুমের অবসান হলেও মানুষের মানবিক মর্যাদার পূর্ণাঙ্গ বিকাশ, অর্থনৈতিক আজাদি, ইনসাফ ও ন্যায়নীতির প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি।
ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ, ( ইউপিবি/আপ বাংলাদেশ) নতুন বাংলাদেশে বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবস্থা ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূলৎপাটন করে বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তৈরি করতে কাজ করবে।