কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া জ্ঞানপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে পরিচিত আহসান হাবীব মাসুম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রপাগান্ডার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী আনোয়ার জামান তারেক এবং আমিনুজ্জামান শরীফ।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার জামান তারেক বলেন, “আমি ও আমার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাদের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে, তা নিছক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।”
তারা জানান, একটি পুকুর ও জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এই অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। “উক্ত জমি ও পুকুর আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। দলিলপত্র ও রেকর্ডে তার স্বপক্ষে প্রমাণ রয়েছে। অথচ একটি প্রভাবশালী পক্ষ ভুয়া এওয়াজ বদলের মাধ্যমে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে,” বলেন আনোয়ার জামান তারেক।
আমিনুজ্জামান শরীফ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মুক্তিপণ সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কখনো এমন কোনো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।”
তারা অভিযোগ করেন, এই মিথ্যা প্রচারের নেপথ্যে রয়েছেন হিলচিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের বর্তমান সেক্রেটারি আহসান হাবীব মাসুম এবং তার বড় ভাই মাহবুব কামাল, যিনি বাজিতপুর থানা আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। তাদের বিরুদ্ধেই গত বছর ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় বাজিতপুর থানায় দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে—যে মি. শরীফের ‘চাপের কারণে’ তার মৃত্যু হয়েছে—তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। শরীফ বলেন, “তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন এবং স্বাভাবিকভাবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। আমার বা আমার পরিবারের কারও কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”
প্রসঙ্গত, আমিনুজ্জামান শরীফ কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আনোয়ার জামান তারেক জেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।